১১ দফা বিধিনিষেধ ও প্রজ্ঞাপনগুলো কি কি?

Homeবাংলাদেশ

১১ দফা বিধিনিষেধ ও প্রজ্ঞাপনগুলো কি কি?

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে সরকারের আরোপ করা ১১ দফা বিধিনিষেধ আজ ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি সোমবার বিক

বিটকয়েন কি? বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ?
শিশুরা রাতে কেন কাঁদে? শিশুর কান্না থামানোর উপায়
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস শাখা, নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার জেনে নিন

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে সরকারের আরোপ করা ১১ দফা বিধিনিষেধ আজ ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

১১ দফা বিধিনিষেধ ও প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবাণী

সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই একটু লক্ষ রাখবেন- নতুন আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টটা দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং একেকটা পরিবারসহ আক্রান্ত হচ্ছে। এখানে আমি সবাইকে বলব যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা এবং এরই মধ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি, সেই নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চলবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের দেশে গবেষণা খুব কম হচ্ছে, তাই আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণায় পিছিয়ে আছি। আমাদের খুব কম চিকিৎসক আছে যারা গবেষণা করছেন। চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিতে যতটা আগ্রহী, গবেষণার ক্ষেত্রে ততটা নন। হাতে গোণা কয়েকজনই নিয়মিত গবেষণা করেন। এই ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণাটা আমাদের একান্তভাবে দরকার। অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

১১ দফা বিধিনিষেধ

১১ দফা বিধিনিষেধ

১১ দফা বিধিনিষেধ গুলো হলো

১. দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই করার উপায়
২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৩. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪. ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোনো সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৬. ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্ব প্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৯. সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা গ্রহণ করবে।
১০. উন্মুক্ত স্থানে সর্ব সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সংগৃহীত –

COMMENTS

WORDPRESS: 0