মোবাইলে ওপাশে ক্রিং…ক্রিং…ক্রিং…। কিছুক্ষণ পর এপাশে হ্যালো…। ফোনটা রিসিভ করি আমরা হ্যালো বলেই। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি এই হ্যালো শব্দটি-ই কেন? ছড়
মোবাইলে ওপাশে ক্রিং…ক্রিং…ক্রিং…। কিছুক্ষণ পর এপাশে হ্যালো…। ফোনটা রিসিভ করি আমরা হ্যালো বলেই। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি এই হ্যালো শব্দটি-ই কেন? ছড়ানো-ছিটানো হাজার শব্দের মধ্যে কেন এই শব্দটাকেই আঁকড়ে আছি আমরা? আর কীভাবেই বা যাত্রা শুরু ‘হ্যালো’ শব্দটির? এর পেছনেও রয়েছে নানা গল্প।
হ্যালো শব্দের উৎপত্তি
হ্যালো মূলত জার্মানি শব্দ। এটি প্রথমে Holo, Hallo ছিল। Holo বা Hallo বাংলায় ‘এই’ বা ‘ঐ’ অর্থে ব্যবহৃত হত। ১৮৮৬ সালে জার্মানিতে মাঝিকে ডাকার লক্ষ্যেই হ্যালো ব্যবহার শুরু হয়। তা পরবর্তী সময়ে পালাবদলে Holo>Hallo থেকে Hello হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে কাউকে ডাকা বা সম্বোধনের জন্য hello শব্দ ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটিশরা ভাবত যে আমরা যেহেতু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকি এবং এইসব দাসেদের ওপর শাসন করি, তাই আমরা হলাম এদের মালিক। আর এইসব দাসেরা সব নরকে যাওয়ার যোগ্য। এবং পরবর্তীকালে এই সমস্ত দাসদের নাম ধরে না ডেকে, ব্রিটিশরা তাদের Hello বলে ডাকতে শুরু করে।
কিন্তু দাসরা ইংরেজি না জানায়, তারা ভাবে যে ব্রিটিশরা তাদের সম্মান জানিয়ে Hello বলে ডাকছেন। তারা এটা কখনোই বুঝতে পারিনি যে ব্রিটিশরা তাদের গালি দিয়ে Hello নামে অভিহিত করছে। এবং এখান থেকেই, পরবর্তীকালে Hello শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিন কলেজের অধ্যাপক ও গবেষক অ্যালেন কোয়েইনিগস বার্গের মতে, ১৮৭৮ সালে যখন বিজ্ঞানী এডিসন ও তাঁর বন্ধু ডেভিড নিউ হ্যাভেনে ইতিহাসের প্রথম টেলিফোন এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন তাঁরা টেলিফোনে সম্ভাষণের জন্য টেলিফোন ম্যানুয়ালে হ্যালো শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করেন। টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যন্ত্রটির আধুনিকায়ন ও টমাস আলভা এডিসন এটি সহজলভ্য করে তোলেন। অ্যালেন এর মতে, এডিসনই হ্যালো শব্দটির প্রচলনকারী।
কীভাবে যাত্রা হ্যালো শব্দটির
ইংরেজি ‘হেল‘ শব্দ থেকে হ্যালো শব্দটি এসেছে। ইংরেজিতে হেল শব্দের মানে হলে নরক। আগেকার দিনে ব্রিটিশরা বিশ্বের অনেক দেশকে তাদের দাস বানিয়ে নেয় এবং তাদের ওপর শাসন চালায়।
আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে টেলিফোন যন্ত্রটির আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। তিনি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কোম্পানি। যার নাম ‘টিঅ্যান্ডটি’।
টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার পর তিনি ওই বছর ১০ মার্চ তার বান্ধবী ‘মার্গারেট হ্যালো’কে প্রথম ফোন করেন। তার বান্ধবীকে তিনি যে কথাটি বলেছিলেন, তা ছিল ‘হ্যালো’। তিনি তার বান্ধবীর নাম ধরেই ডেকেছিলেন। প্রেমিকার প্রতি বিজ্ঞানীর ভালোবাসার ডাক। তবে এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে ফোন ধরে প্রথমে ‘হ্যালো’ বলা শুরু হতে থাকে এবং পরবর্তীতে এই প্রেমিকাকেই তিনি বিয়ে করেন।
COMMENTS