বর্তমানে ই-কমার্স কেনাবেচার জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ও এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এই জনপ্রিয়তার সুযোগে একশ্রেণির অসাধু চক্র অফার দিয়ে লোভ দেখিয়ে
বর্তমানে ই-কমার্স কেনাবেচার জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ও এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এই জনপ্রিয়তার সুযোগে একশ্রেণির অসাধু চক্র অফার দিয়ে লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ও গ্রাহকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমন একটা মাধ্যম হলো “রিং আইডি।
রিং আইডি কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা বলব, এটি একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি । আপনি হয়তো ডেস্টিনির নাম শুনেছেন। জনগণ হচ্ছে এদের ব্যবসার মূল হাতিয়ার। রিং আইডি বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
এইগুলো পড়তে পারেনঃ-
- বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ২০টি উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সহজ ১০টি উপায়
- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
- বাংলাদেশে গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট
এখানে আইডি খুলার কথা বলে আয় করার জন্য অনেক লোভ দেখনো হয় ও গ্রাহকের কাছ থেকে এই সময়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রাহকেরা মুনাফার আশায় বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়।
অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নতুন ফাঁদ রিং আইডি
এমন কয়েকজন গ্রাহক বলেন, তারা প্রথমে ২২০০০ টাকা পে করে গোল্ড মেম্বারশিপ কেনার জন্য পরে একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলেও আইডি একটিভ করা হয় নি। পরে এই বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো কাজে লাগেনি। এভাবে অবেক গ্রাহক তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন।
আবার কিছু গ্রাহক মেম্বারশিপ পাওয়ার পরেও ক্যাশ আউট এর ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়ছেন। তাদের নিজেদের যে জমানো টাকা আছে তারা সেগুলো তুলতে পারছেন না। ফলে হয়রানি হতে হচ্ছে।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে রিং আইডি ‘কমিউনিটি জবস মেম্বারশিপ’ চালু করে। মেম্বারশিপের মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ করে টাকা আয়ের সুযোগ দেয়া হয়। এজন্য বর্তমানে দুটি প্যাকেজ অফার রয়েছে। সিলভার মেম্বারশিপ ও গোল্ড মেম্বারশিপ। সিলভার মেম্বারশিপের মূল্য ১২ হাজার টাকা এবং গোল্ড মেম্বারশিপের মূল্য ২২ হাজার টাকা। পাশাপাশি এখানে আরও দুটি প্রবাসী প্যাকেজ রয়েছে। ‘প্রবাসী গোল্ড’ ২৫ হাজার টাকা এবং ‘প্রবাসী প্লাটিনাম’ ৫০ হাজার টাকা। মেম্বারশিপ পাওয়ার পর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞাপন যত গ্রাহক দেখেন তত টাকা ইনকাম হয়।
তাদের বেশকিছু প্যাকেজ অফার আছে। সিলভা মেম্বারশিপের মূল্য ১২০০০ টাকা,গোল্ড মেম্বারশিপের মূল্য ২২০০০ টাকা,প্রবাসী গোল্ড ২৫০০০ ও প্রবাসী প্লাটিনাম ৫০০০০ টাকা। প্রবাসী গোল্ড ও প্রবাসী প্লাটিনাম গোল্ড প্যাকেজগুলো হলো প্রবাসী প্যাকেজ।
মেম্বার শিপের পরে আইডিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পরে যত বেশি গ্রাহক দেখে তত আয়। এই নিয়মে সিলভার প্যাকেজ থেকে দিনে ২৫০ ও প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা, গোল্ড মেম্বারশিপে দিনে ৫০০ ও মাসে ১৫০০০ টাকা, প্রবাসী গোল্ড মেম্বারশিপে গোল্ড মেম্বারশিপের মতই, এবং প্লাটিনাম প্যাকেজে দিনে ১০০০ ও মাসে ৩০০০০ টাকা আয়ের অফার দেয় রিং আইডি। খুব কম সময়ে বেশি লাভের চিন্তা করে গ্রাহকরা টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হচ্ছে।
এসব মেম্বারশিপ থেকে রকেট,বিকাশ ও নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ১০ দিন পরপর সর্বনিম্ন ২০০ ও সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা তুলার লোভ দেখায় তারা। পাশাপাশি পেমেন্ট রিকুয়েষ্ট দিয়ে ১-২৪ ঘন্টায় পাবে বলে জানায় তারা। কিন্তু টাকা তুলার পরিমান কিছুদিন পরেই তারা কমিয়ে দেয় ও ক্যাশ আউট অপশন রাখে না। তখন বাধ্য হয়ে অনলাইন শপে জিনিস কিন্তে হয় চড়া দামে, এসব জানান ভুক্তভোগীরা। অনেক গ্রাহক বলেন মাসের পর মাস ঘুরেও তারা টাকা পাচ্ছেন না।

রিং আইডির ইতিহাস
রিং আইডির প্রতিষ্ঠাতা কানাডা প্রবাসী আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলাম। তারা উভয়েই বাংলাদেশি৷ কোম্পানিটি বাংলাদেশি হলেও এই দুইজন বিদেশে থাকেন। এই আইডি যে ব্যাবহার করে সে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ রাখে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক সংস্করণ সম্পন্ন করে। প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এখানে বিনামুল্যে কল,মেসেজ,স্টিকার,সিক্রেট চ্যাট করার ব্যাবিস্থা আছে।
এইগুলো পড়তে পারেনঃ-
- বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ২০টি উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সহজ ১০টি উপায়
- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
- বাংলাদেশে গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৭০০০ এর মতো অনলাইনে শপ আছে। কোনো নিয়ম ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ চালিয়ে গ্রাহকদের থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এসব অনলাইন শপ সম্পর্কে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে বলা হয়েছে , পন্য বুঝে নিয়ে পরে টাকা দিতে হবে আর ঢাকার ভিতরে ৫দিন ও বাইরে ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিতে হবে। কিন্তু মানছে না কেউ। এখানে কোম্পানির প্রধানদের জেলে ঢুকানো হলেও গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাচ্ছে না ফলে তাদের পুরো টাকাই ক্ষতির মুখে পড়ছে।
COMMENTS