মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা আমাদের প্রয়োজন হয় অনেক সময়। এই কারণে, অনেকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার উপায় খুঁজে থাকেন। আজকের এই লেখা মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার ট্রিক্সগুলো দেখাবো।
অনেক সময় আমাদের ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে। আর এই অপরিচিত নাম্বার গুলোর নাম জানাটা অনেক সময় জরুরি হয়ে পড়ে। ক্ষেত্রবিশেষ যদি মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা যায় তাহলে তো সেটা সোনায় সোহাগা।
আরো পড়ুনঃ হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ট্র্যাকিং পদ্ধতি
তো এখন কথা হল, এই কাজটা কিভাবে করা যায়। লেখাটি বোঝার সুবিধার্থে, আমি সম্পূর্ণ লেখাটিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করবো। এখানে দেওয়া প্রতিটি টিপস আপনি চাইলে প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। আশা করি, মোবাইল নাম্বারের পরিচয় পেয়ে যাবেন। এটা স্মার্টনেসের একটা বৈশিষ্ট্য বলা যায়।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা
প্রতিদিনি অনেক মানুষ গুগলে সার্চ করে কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা যায়। আজকের এই নিবন্ধটির মাধ্যমে আপনাকে মোবাইল নম্বর দিয়ে যে কোন মানুষের পরিচয় দেখার কৌশল দেখিয়ে দিব। মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার মূল উপায় ৩টি:
অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় বের করা
স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচয় বের করা
প্রসাশন বা পুলিশ ট্র্যাকিং করে
অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় বের করার উপায়
এমনকি ফোনে থাকা নিজের ব্যক্তিগত ডাটা(Personal data) বেহাত হওয়ার হাত থেকেও পারবেন বাঁচাতে!আমরা মূলত গুগলের সার্ভিস ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানবো। তবে তার সাথে সাথে ট্র্যাকিং এর জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার(Software) সম্পর্কেও জানব।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা
অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় বের করার অর্থ হচ্ছে ,অপরিচিত নাম্বার আসার সাথে সাথে সেখানে আপনি নাম্বারের মালিকের নাম দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী অ্যাপ হলো Truecaller।
বর্তমানে প্লে স্টোরে এই টাইপের অনেক অ্যাপস পাওয়া যায়। সেগুলো মোটামুটি কাজ করে, তবে ট্রুকলার সেরা। আমি অবশ্য বাকিগুলোর ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিব।
ট্রুকলার কীভাবে কাজ করে?
সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে, অবশ্যই এই অ্যাপ গুলো কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে আপনার কাছে তারা পরিচয় সরবরাহ করে সেটা জানতে হবে। তা না হলে গোলমাল পাকিয়ে দিতে পারেন।
ট্রুকলার কাজ করে ক্রাউড সোর্সিং এর মাধ্যমে। ক্রাউডসোর্সিং হল স্মার্টফোন অ্যাপ, ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশাল গ্রুপের নিকট থেকে ডেটা বা মতামত নেয়া। এখন এই বিশাল গ্রুপের মধ্যে আপনিও অন্তর্ভুক্ত।
অর্থাৎ, টুকলর অ্যাপ আপনার ফোনে ইন্সটল করার পর, আপনার ফোনে সেভ করা ফোন নাম্বারগুলো নাম সহ, তাদের ডাটাবেজে আপলোড করে রাখে। মনে করেন, এমন ভাবে ৫,০০০ মানুষ এই অ্যাপ ইন্সটল করলো, তো ৫,০০০ মানুষের ফোন কম করে হলেও ৩০০ ফোন নাম্বার সেভ করা ছিল। তাহলে, ট্রুকলারের ডাটাবেজে যুক্ত হলো ৫,০০০X৩০০=১,৫০০,০০০। টেনশন নিয়েন না তাদের ইউজার এত কম না। টুকলর ইন্সটল করেছে ৮৮ মিলিয়ন মানুষ। স্বভাবতোই তাদের নিকট অসংখ্য নাম্বারের পরিচয় আছে।
তবে, একটা ঝামেলা আছে, এই ধরুন, আপনার ফোনে, আপনার বান্ধবী রোকেয়ার নাম্বারর সেভ করে রাখলে ফইন্নি। ট্রুকলারে এই নাম্বারের নাম হিসাবে সবাই ফইন্নি দেখবে। কি একটা অবস্থা।
যাই হোক, এই একই রকম তথা ক্রাউড সোর্সিংয়ের কাজ কিন্তু গুগল ম্যাপও আমাদের সাথে করে। আমরা যে গুগল ম্যাপে লাইভ ট্রাফিক দেখি সেটা এর মাধ্যমেই। এ নিয়ে অন্য কোন দিন আলাপ হবে প্রিয় ক্যারিয়ার ওয়েবসাইটে।
Truecaller দিয়ে পরিচয় বের করা
Truecaller এর কাজ কি? এরকম প্রশ্ন আশা করি, আপনার মাথায় আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে না। Truecaller যাত্রা শুরু করে আজ থেকে ১১ বছর আগে। কোম্পানিটির হেড অফিস সুইডেনে। মোবাইল নাম্বারের পরিচয় খোঁজার ক্ষেত্রে এটা বেশ কার্যকরী অ্যাপ।
এই অ্যাপের ফ্রি এবং পেইড দুটি ভার্সন পাওয়া যায়। এছাড়া, এই অ্যাপটি আপনি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনে ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাপটি ব্যবহার করা বেশ সহজ। অ্যাপটি ইন্সটল করার পর কিছু পারমিশন চাইবে, বুঝতেই পারছেন কেন চাচ্ছে! যেই নাম্বারটির তথ্য জানতে চাচ্ছেন সেটা টাইপ করুন, তারপর SEARCH IN TRUCALLER এ ক্লিক করুন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করাট্রুকলারের আরও অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। যেমন:
অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলে ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। তবে, এর জন্য ফোনের ডাটা বা ওয়াইফাই চালু থাকা লাগবে।
অপরিচিত নাম্বার ব্লক করার সুবিধা।
আপনার বন্ধুর টুকলর অ্যাকাউন্ট থাকলে ফ্রি কল ও মেসেজ করার সুবিধা। এর জন্য ফোনের ডাটা বা ওয়াইফাই চালু থাকা লাগবে।
ট্রু কলারের বিকল্প কিছু অ্যাপস দেয়া। অর্থাৎ, এইগুলো ট্রু কলারের মতো কাজ করে। ট্রু কলারে কোন নাম্বারের পরিচয় না পেলে, এইগুলো দিয়ে খুঁজে দেখতে পারেন।
প্রসাশন বা পুলিশ ট্র্যাকিং
যখন উপরের কোন উপায় কাজ না করে, কিন্তু আপনার ফোন নাম্বারের পরিচয় জানা জরুরি হয়ে পরে তাহলে, সর্বশেষ উপায় হলো পুলিশ। হতে পারে, অপরিচিত নাম্বার থেকে আপনাকে হুমকি বা বিরক্ত করেছে। তখন পুলিশের নিকট যাওয়াটাই অধিক বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
পুলিশের নিকট গিয়ে জিডি করতে হবে। আর এই জিডি সম্পূর্ণ ফ্রি। নিকটস্থ যেকোন থানায় গিয়ে ওসি, এসআই/এএসআই এর মাধ্যমে জিডি করতে পারেন। অপরাধীকে ধরতে ১ ঘন্টা থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। পুলিশের নিকট থাকা উন্নত প্রযুক্তির ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে সহজেই নাম্বারের পরিচয় এবং লোকেশন বের করে ফেলতে সক্ষম হবে।
এই ছিল আজকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা কিছু কার্যকরী উপায়। আমি চেষ্টা করেছি, নিজে পরীক্ষা করে এবং অনলাইন থেকে সঠিক উপায়টি খুঁজে বের করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার। আশা করি লেখাটি আপনাদের উপকারে এসেছে।
I genuinely enjoy reading through on this internet site, it has got good articles. “I have a new philosophy. I’m only going to dread one day at a time.” by Charles M. Schulz.
COMMENTS
I genuinely enjoy reading through on this internet site, it has got good articles. “I have a new philosophy. I’m only going to dread one day at a time.” by Charles M. Schulz.