বিকাশ থেকে লোন নিন জামানত বিহীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংক জামানত বিহীন বিকাশ থেকে লোন (Bkash Loan) সেবা চালু করা হয়। বিকাশের গ্রাহকরা ব
বিকাশ থেকে লোন নিন জামানত বিহীন
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংক জামানত বিহীন বিকাশ থেকে লোন (Bkash Loan) সেবা চালু করা হয়। বিকাশের গ্রাহকরা বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় তাৎক্ষণিকভাবে এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। সিটি ব্যাংকের জামানত বিহীন বিকাশ থেকে লোন সেবা প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের সকল মানুষকে ঋণ সুবিধার আওতায় আনার জন্যই এই প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে।
বিকাশ থেকে লোণ পাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে বিকাশ এপস ডাউনলোড করে নিতে হবে।
জরুরী অর্থের প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন ডিজিটাল ঋণ মিলবে বিকাশে। দেশে এই প্রথমবারের মত কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক, যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে সঙ্গেই সঙ্গেই ঋণ বিতরণ সেবা চালু করল।
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম জানেনা আমাদের অনেকেই। ডিজিটাল ঋণ বিতরন বা ডিজিটাল লোন বিতরন সেবা। এমন টা আগে কখনো শুনেছেন? না শুনারই কথা। সিটি ব্যাংক এরসাথে একত্রিত হয়ে এমন সেবাই প্রধান করতে যাচ্ছে বিকাশ। বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম জানেনা আমাদের অনেকেই।
সুদের হার হবে ৯%। ঋণ নেওয়ার পরের তিন মাসে সম-পরিমাণ তিন কিস্তিতে নির্ধারিত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহকের বিকাশ হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে। নির্ধারিত পরিশোধ তারিখের আগে গ্রাহককে ক্ষুদে বার্তা এবং অ্যাপসের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে।
বিকাশ থেকে লোণ পাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে বিকাশ এপস ডাউনলোড করে নিতে হবে।

বিকাশ থেকে লোন
বিকাশ থেকে লোন গ্রহণের শর্ত
সিটি ব্যাংকের এই লোন যেকোনো সময় যেকোনো যায়গায় নিতে পারবেন খুব সহজেই। তাহলে জেনে নিন বিকাশ থেকে কিভাবে আর কি কি শর্তে লোন নিতে পারবেন। সিটি ব্যাংক ও বিকাশের একত্রিত এই লোন সেবায় আপনি জামানত ছাড়াই নিতে পারেন ১০ হাজার টাকা। টাকা নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু করতে হবে না।
বিকাশ লোন নেয়া অত্যন্ত সহজ। আপনাকে কোন ঝামেলা ছাড়াই বিকাশ ঋণ দিবে। তবে অবশ্যই আপনাকে নির্বাচিত কাস্টমার হতে হবে। কারণ এখন পর্যন্ত এটা শুধুমাত্র কিছুসংখ্যক গ্রাহকদের জন্য সীমাবদ্ধ। বিকাশের মাধ্যমে সহযেই নিতে পারেন ১০ হাজার টাকা যেকোনো সময়।
কারা বিকাশ থেকে লোন পাবেন?
আগেই যেমনটি বলেছি, আপাতত নির্বাচিত বিকাশ গ্রাহকগণই ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত এই ঋণ নিতে পারবেন। প্রকল্পটি যদি সফল হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সেবাটি আরো বেশি বিকাশ গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আপনি বিকাশ লোন পাবেন কিনা তা আপনার ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট এর উপর নির্ভর করবে। আপনার তথ্য বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখবে। যদি তারা মনে করে যে আপনি এই লোন পাওয়ার উপযুক্ত, তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপে এই লোন নেয়ার অপশন পাবেন।
আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন আপনি বিকাশের লোন নেওয়ার যোগ্য কিনা। এটা যাচাইয়ের কোন পদ্ধতি নাই। শুধুমাত্র আপনিই জানতে পারবেন আপনি লোন পাবেন কিনা। এজন্য আপনাকে বিকাশের অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। আর যদি ইতিমধ্যেই বিকাশে অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এটা আপডেট করে নিতে হবে।
বিকাশ থেকে লোন পেতে আবেদন করার নিয়ম
স্টেপ ১: প্রথমে আপনাকে আপনার বিকাশ এ্যাপ এ গিয়ে দেখতে হবে যে আপনার লোন বাটন অথবা লোন আইকন আছে কিনা।
স্টেপ ২: তারপর, আপনি একটি E-KYC form (Know your customer form) দেখতে পাবেন এবং আপনাকে সেই ফরম ফিলাপ করতে হবে সব ইনফরমেশন দিয়ে। ফরম সাবমিট করতে হবে সিটি ব্যাংকের কাছে আপনার অ্যাপের সাহায্যে।
স্টেপ ৩: ফরম সাবমিট করার পর আপনি যদি লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য হন তাহলে, সাথে সাথে আপনার বিকাশ একাউন্টে লোন টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
স্টেপ ৪: লোনের টাকার সাথে আপনাকে একটি পিন নাম্বার দেওয়া হবে।
স্টেপ ৫: সেই পিন নাম্বার দিয়ে আপনি সহজে আপনার টাকা পেয়ে যাবেন এবং সেই টাকা উঠাতে পারবেন।
বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়ম কী?
ঋণ নেওয়ার পর পরবর্তী তিন মাসে, একই পরিমাণ অর্থ তিন কিস্তিতে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে নির্ধারিত তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধিত হয়ে যাবে। পরিশোধের তারিখের আগে গ্রাহক এসএমএস এবং অ্যাপের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাবেন।
ঋণ গ্রহণকারীগণ ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করছে কিনা, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরবর্তী ঋণ প্রদানে এই ব্যাপারটিও বিবেচ্য হবে। বিকাশের তথ্যমতে, সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের প্রান্তিক লোককে ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য। তাদের প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, পাইলট প্রকল্পের অধীনে কিছু সংখ্যক গ্রাহক প্রথমেই সুবিধা পাবে।
বিকাশ থেকে লোন নিতে যা জানা প্রয়োজন
বিকাশ থেকে লোন সুবিধা নেওয়ার জন্য আপনাকে কতগুলো বিষয় অবশ্যই জানতে হবে। সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
- আপনাকে অবশ্যই বিকাশের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদ আসল এবং ঋণ-সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
- আপনাকে ঋণ দেওয়া বা না দেওয়ার ক্ষমতা বিকাশ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
- ঋণের ব্যাপারে বিকাশের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এইগুলো পড়তে পারেনঃ-
- বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ২০টি উপায়
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনগুলো
- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
- ফুড পান্ডা ডেলিভারি ম্যান বেতন কত পায়?
বর্তমানে পাইলট প্রকল্পের আওতায় চালিত হচ্ছে এই ডিজিটাল ঋণ সেবা কার্যক্রম। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সংখ্যক নির্বাচিত গ্রাহকগণই এই ঋণ নিতে পারবেন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে। এই প্রকল্প সফল হলে আরো বেশি পরিমাণ বিকাশ গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে সেবাটি।
COMMENTS