ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন? বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার গাইডলাইন

HomeUncategorized

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন? বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার গাইডলাইন

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে অনলাইনে আয় করা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে টাকা আয় করা কোন সহজ ব্যপার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি বেতন ৪২০০০
পাদ কি? পাদ নিয়ে কিছু মজার কথা

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে অনলাইনে আয় করা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে টাকা আয় করা কোন সহজ ব্যপার নয়। অনলাইনে আয় করার জন্য প্রথমে আপনার কিছু বিষয়ে প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে।  এই লিখাটি আপনাকে অনলাইনে কাজ শেখা থেকে শুরু করে, স্বাবলম্বী হবার পথ দেখিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে এখন বেশ আলোচিত একটি বিষয়। বিশেষ করে তরুণ যুব সমাজের কাছে, যারা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের পথ গড়ে তুলতে চায়। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে যে কেউ তার মেধা দিয়ে শূন্য থেকে বেশ বড় সফলতা বয়ে আনতে পারে।

যারা বাইরে গিয়ে কাজ করতে অনিচ্ছুক তাদের জন্যে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে উপার্জনের হাতিয়ার। অনলাইনে কাজ করে বা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য, প্রথমে আপনাকে যে কোন অনলাইন ভিত্তিক কাজ শিখতে হবে। আপনি যদি কোন একটি  বিষয়ে ভালো ভাবে কাজ শিখেন এবং সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন, তবে অনলাইনের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজের অভাব হবে না।

মার্কেটপ্লেসে হাজার রকমের কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন মেকিং, ভিডিও এডিটিং, অ্যাপ মেকিং, প্রোগ্রামিং, এস ই ও, কন্টেন্ট রাইটিং সহ আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ। আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন কাজ ভাল ভাবে শিখে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

যেসব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে আপনি উপরোক্ত কাজগুলো করতে পারেন নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

কিন্তু আপনি এই কাজগুলো কোথায় আর কিভাবে শিখবেন? হ্যাঁ বর্তমানে এই ধরনের কাজ শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে আপনি সেখানে কাজ শিখতে পারেন। এছাড়াও আপনি ইউটিউব থেকেও কাজ শিখতে পারেন। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে  অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন।

তবে, কাজ শেখার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটাই সেরা। বর্তমানে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো  অনলাইন এবং অফলাইন, এই দুই পদ্ধতিতেই কাজ শেখায়। আপনি ঘরে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে খুব সহজেই কাজ শিখতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে অবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ।

এইগুলো পড়তে পারেনঃ-

ফ্রিল্যান্সিং যেমন সম্ভাবনা, তেমনি এ নিয়ে আছে প্রচুর ভুল ধারণা, আবার ভুল ধারণাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদ।আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখানোর জন্য অনেক প্রতারক আপনার জন্য খুলে রেখেছে প্রতারণার ফাঁদ। তাই আপনার বুদ্ধি- বিবেচনায় আপনি বিচার করবেন আপনি কোথায় আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ও ফ্রিল্যান্সিং শেখানো নিয়ে আমাদের দেশে অনেক ধরনের বানিজ্য চলছে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অধিকাংশ লোকের ভুল ধারনা থাকার কারনে কিছু কোচিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং কোর্স চালু করে সাধারণ মানুষকে নাম মাত্র ফ্রিল্যান্সিং এর শিক্ষা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং

আমরা আজকের পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে নিচের টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব-

  • ফ্রিল্যান্সিং কি?
  • আউটসোর্সিং কি?
  • ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা-অসুবিধা কি?
  • ফ্রিল্যান্সিং কারা করে?
  • ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
  • ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বো?
  • ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?
  • ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ কিভাবে পাবো?কিভাবে পারিশ্রমিক বুঝে পাবো?
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখবেন

ফ্রিল্যান্সিং করার আগে যা ভাবা দরকার

ইন্টারনেট হচ্ছে তথ্যের ভান্ডার। কি নেই এই ইন্টারনেটে? আপনি যদি এই ইন্টারনেটের  সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার কোন প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য লাগবে না। এক একথায় ইন্টারনেট হল একজন সর্বজ্ঞানী শিক্ষকের মত। যেকোন বিষয় শেখার জন্যই আপনি এই শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন।

শুধুমাত্র ইন্টারনেট বিল ও আপনার সময় ছাড়া এখানে আপনার আর কোন টাকা খরচ হবে না। আপনি যে বিষয়ে কাজ শিখতে চান গুগলে সেটি লিখে সার্চ করলেই, সে বিষয়ে অসংখ্য ইংলিশ এবং বাংলা কন্টেন্ট বা টিউটোরিয়াল ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনার পছন্দের বিষয়টি শিখতে শুরু করতে পারেন।

আমার মতে, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ধরনের কোর্স করা প্রয়োজন হয় না। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা প্রয়োজন হয়। কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি নিজে নিজে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলে নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

কিভাবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হয়, কিভাবে পোর্টফোলিও সাজাতে হয়, কিভাবে ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন করতে হয় ও কিভাবে জব এপ্লাই করতে হয়, এগুলো বিষয় শেখার জন্য আপনাকে কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করা প্রয়োজন হবে না। এই সমস্ত বিষয় আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারবেন।

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করাকে বুঝায়। সহজ কথায় ফ্রিল্যান্সিং মানে হল, যে কাজ ক্লায়েন্ট অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে অর্ডার দিবে, আপনি সে কাজে চুক্তিবদ্ধ হবেন, নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজটা করবেন, আর সেটা অনলাইনের মাধ্যমেই ক্লায়েন্টকে ডেলিভার করবেন, আর ক্লায়েন্ট অনলাইনের মাধ্যমেই আপনাকে পেমেন্ট করবে।

ফ্রিল্যান্সিং হল মুক্ত পেশা। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যা আপনি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে আপনার ইচ্ছামত করতে পারবেন। আপনি অনলাইনের যেসব কাজে দক্ষ, সেসব কাজ অনলাইনে করে দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার অনলাইন কাজের দক্ষতা অনলাইনে বিক্রি করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

তাহলে ফ্রিলান্সিং শুরু করতে প্রথমেই আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে ফ্রিলান্সিং কি এই বিষয়ের উপর। আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন ফ্রিলান্সিং কি। ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি মূলত ঘরে বসে দেশের বাইরে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবেন। আপনি অনলাইনে কাজ পাবেন আর অনলাইনেই কাজ করে জমা দিয়ে আপনার প্রাপ্য টাকা বুঝে নিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং হল নিজের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের কোন কাজ করে দেয়া। ধরুন,আপনার ঘরের বিদ্যুতের  লাইনে কোন সমস্যা হয়েছে। আপনি বিদ্যুতের কাজ জানেন না তাই আপনি কাজ জানে এমন কাউকে এনে লাইনটি পরিক্ষা করাবেন। যদি বিদ্যুতের লাইনে কোন সমস্যা থাকে সেই কাজ জানা লোকটি সেটা ঠিক করে দিবে এবং এর বিনিময়ে আপনি তাকে পারিশ্রমিক দিবেন।

এখানে লোকটি আপনার যে কাজটি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আপনাকে করে দিল সেটাই হল লোকটির ফ্রিল্যান্সিং। ”মুক্তপেশা” (Freelancing) কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকেমু্ক্তভাবে কাজ করাকে বোঝায়। যারা এধরণের কাজ করেন তাদের বলা হয় “মুক্তপেশাজীবী” (Freelancer)। এধরণের কাজে  কোনো নির্দিষ্ট মাসিক বেতনভাতানেই তবে স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছা মতো ইনকামের সুযোগ ও আছে।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার গাইডলাইন

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

এজন্য  স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা। আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক।

ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ হওয়াতে এ পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে।ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা।এটি গতানুগতিক চাকরির বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করাই হল ফ্রিল্যান্সিং।  এখানে আপনাকে খবরদারি করার জন্য বা বস লেভেলের কেউ থাকবেনা। আপনার ইচ্ছে হল কাজ করবেন আর ভালো না লাগলে কাজ করবেন না।

আমাদের দেশের তরুন বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং দিনে দিনে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পড়ালেখার পাশাপাশি তারা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে।  ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে। যে ওয়েবসাইট গুলো ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়।  যাদেরকে বলা হয় “ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস”। এই মার্কেট প্লেসগুলোতে রেজিস্ট্রিশন করে সেখানে কাজ শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার কারা?

এক কথায়, যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করেন তারাই ফ্রিল্যান্সার। ইন্টারনেটের কল্যানে আপনি খুব সহজেই একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। অনলাইনে আপনি আপনার পছন্দ মত সাইটে করে কাজ করতে পারেন।  এখানে রয়েছে কাজ করার স্বাধীনতা এবং কাজ বাছাই করার স্বাধীনতা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে।

প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবডেভেলপমেন্ট, গেম মেকিং, 3D এনিমেশন ক্রিয়েট, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ  টেস্টিং, ডাটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন রকম কাজ করে আপনি একজন সফল  ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারেন। ধৈর্য এবং কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। এই প্রতিবেদনটি তাই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে সফলভাবে প্রকাশ করতে পারেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো

সাধারনত, উন্নত দেশগুলো তাদের কাজ গুলো কম মূল্যে করানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। এশিয়ান দেশগুলো তাদের প্রধান টার্গেট। কারন এশিয়া মহাদেশের বেশিরভাগ দেশই অনুন্নত বা উন্নয়নশীল। তাই এখানকার ফ্রিল্যান্সাররা অন্য দেশের তুলনায় তুলনামূলক কম মুল্যে উন্নত দেশের ক্লাইন্টকে কাজ করে দেয়।

ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়ায় এ দুটি দেশের ফ্রিল্যান্সাররা রাজত্ব করছে। যদি আমরাও ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটিই হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্তিশালি ভিত্তি। কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়গুলো ভালো ভাবে শিখতে হবে।

তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে পারেন। এখানে কিছু জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসের লিংক দেয়া হল। এই মার্কেট প্লেস গুলো থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে তাদেরকে  Buyer বা Client বলে এবং যারা এই কাজগুলো তাদেরকে করে দেয় তাদেরকে বলা হয় freelancer বা Service Provider।  মার্কেট প্লেসের একটি কাজের জন্য অসংখ্য ফ্রিল্যান্সরা Bid বা আবেদন করে থাকে।

এখানে তারা উল্লেখ করে দেয় যে কত টাকায় তারা এই কাজটি করে  দিবে। এখানে যতজন বিড করে তাদের মধ্য থেকে ক্লাইন্টের যাকে যোগ্য বা পছন্দ হয়, তাকে দিয়েই তার কাজটি করিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে আপনাকে খুব সুন্দর করে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইল ইমেজ তৈরি করতে হবে। যা দেখে ক্লাইন্ট আপনাকে কাজ দিবে। তবে মনে রাখবেন কাজ পাওয়া কিন্তু খুব সহজ বিষয় নয়।

কেউ কেউ মার্কেট প্লেসে একাউন্ট খোলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কাজ পেয়ে যায় আর কেউ মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও কাজ পায় না। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমান, বিড করার সময় এবং ক্লাইন্টের সাথে আপনার কনভারসেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মার্কেট প্লেসে কাজ করার সুবিধা হল এখানে কাজ করে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা ১০০%।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কিন্তু অবশ্যই আপনার ইংরেজিতে ব্যাসিক নলেজ থাকতে হবে। না হয় কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমক্ষিন হতে হবে। কারন, বেশির ভাগ ক্লাইন্ট দেশের বাইরের তাই এদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে বা চেটিং এর মাধ্যমে কাজের বিষয়ে কনভারসেশন করতে হয়। ইংরেজি জানা না থাকলে যা সম্ভব না।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ৫ টি কাজঃ

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় কাজগুলো

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার তৈরি, লোগো বানানো সহ আরো বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন প্রায় সকল কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের হয়ে থাকে। কাজেই যেকোন প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে একটি কোর্স করে নিতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনলাইন/ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা। আর আমরা মার্কেটিং করার জন্য যতো ধরনের বা পদ্ধতি ব্যবহার করি এগুলোই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এ ধরনের কাজের প্রচুর ডিমান্ড আছে।

আর্টিকেল রাইটিংঃ আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে বা ব্লগ লেখার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আর্টিকেল লেখার বিষয়ে একটি কোর্স করে আপনার লেখার অভিজ্ঞতাকে আরো বৃদ্ধি করে নিতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সবসময় ভালোমানের কনটেন্ট রাইটার খোজা হয়ে থাকে।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ আজকাল প্রত্যেকটি কোম্পানি ও প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। কাজেই এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আপনার কাজের কোনো অভাব হবে না।

ভিডিও এডিটিং এন্ড এ্যানিমেশনঃ অনলাইন ও অফলাইন উভয় মার্কেটে ভিডিও এডিটিং ও এ্যানিমেশনের অনেক দাম রয়েছে। এই কাজটি শিখলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইংরেজি জানা কতটা জরুরি

আসলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট সাথে ইংরেজীতে কমিউনিকেশন করতে হয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের অধিকাংশ ক্লায়েন্টরা বাংলাদেশের বাহিরের হয়ে থাকে। কাজেই তারা যেহেতু বাংলা জানে না সেহেতু তাদের সাথে কমিউনিকেশন বা চ্যাট করার জন্য ইংরেজি ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই।

যেমন- গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এন্ড এনিমেশন বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ভালোভাবে ইংরেজি জানা না থাকলেও চলবে। শুধুমাত্র আপনার এই টপিকের উপরে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং ও আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইংরেজি জানা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না।

তবে কিছু কিছু টপিক রয়েছে যেগুলো নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে পরিপূর্ণ ইংরেজি না জানলেও চলবে। শুধুমাত্র আপনার নির্ধারিত বিষয়ে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে আপনি বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ পায়?

ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেয়ে থাকে। তাছাড়া মার্কেটপ্লেসের বাইরেও বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ পেয়ে থাকে। মার্কেটপ্লেসে আপনাকে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে অথবা আপনাকে কাজের দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও সাজিয়ে রাখতে হবে। মার্কেটপ্লেসে দুই ধরণের মানুষ থাকে।

এক যারা কাজ করবে বা স্কিল বিক্রি করবে। দুই, যারা আপনাকে কাজ দিবে বা আপনার স্কিল কিনে নিবে। মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখে, যেখানে আপনাকে যারা কাজ দিবে তারা আপনাকে খুঁজে বের করবে। তাছাড়া সোস্যাল সাইট যেমন, ফেসবুক, লিঙ্কডইন, পিন্টারেষ্ট, ইন্সতাগ্রাম, রেডিট ইত্যাদি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তারা প্রোফাইল তৈরি করে রাখে এবং যারা কাজ দেয় তাদের সাথে কানেক্ট হয়।

এসব সাইটে কাজ করানোর জন্য যখন কেও লোক খুঁজে তখন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে। আবার আপনার প্রোফাইল ভিজিট করে তারা আপনাকে কাজ দেয়ার জন্য যোগাযোগ করে।

যারা আপনাকে কাজ দিবে তারা হচ্ছে আপনার ক্লায়েন্ট। মার্কেটপ্লেসে একজন ক্লায়েন্ট যখন কাজ দেয়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তখন আপনি তার সাথে কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবেন যে আপনার কাজের বিনিময়ে সে আপনাকে কত টাকা দিবে। অর্ডার কনফার্ম করার সাথে সাথে মার্কেটপ্লেসে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যাবে এবং আপনার কাজ কমপ্লিট হবার সাথে সাথেই আপনি টাকা পেয়ে যাবেন।

এইগুলো পড়তে পারেনঃ-

মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করতে গেলে অনেক সময় দেখা যায় আপনি এমন ক্লায়েন্ট পাবেন যে আপনার কাজ জমা দেয়ার পর সে আপনাকে টাকা দিতে চাচ্ছে না। যদিও এটা খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এখানে আপনি কোন অভিযোগ করার সুযোগ পাবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেটপ্লেসেই বেশি কাজ করে থাকে।

মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে আপনার পেমেন্ট থেকে সামান্য কিছু টাকা তারা কেটে নিবে। মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করলে আপনার কাজ থেকে কোন টাকা কেটে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এজন্য মার্কেটপ্লেসের বাইরে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল আপনার স্কিল। আপনার কাজের স্কিল ভালো থাকলো যোকোন জায়গায় হোক আপনাকে কখনো টাকার পিছনে ছুটতে হবে না। টাকা আপনার কাছে অটোমেটিক ধরা দিবে।

 আপনি কোথায় ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন?

অনলাইনে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (ক্লায়েন্ট) তাদের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুজে থাকে। আপনাকে অবশ্যই সে ধরনের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে। কারন জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে বেশি ক্লায়েন্ট থাকে বিধায় অধিক পরিমানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপনি যেকোন জনপ্রিয় একটি বা দুটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করতে পারলে খুব অল্পদিনে সেই মার্কেটপ্লেসে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। আর একবার জনপ্রিয় সাইটগুলোতে নিজেকে প্রমান করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা ও কাজের কোয়ালিটি মেনটেন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কাজ ভালোভাবে করে সেটি বিশ্বস্তার সহিত ক্লায়েন্টকে সাপ্লাই দিলে এবং আপনার কাজ ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে, ক্লায়েন্টরা বার বার আপনাকে কাজের অফার করবে। তখন আপনাকে কাজ পওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার উপযোগী ৩টি মার্কেটপ্লেস

এখন আমি আপনাদেরকে জনপ্রিয় তিনটি মার্কেটপ্লেসের সাথে পরিচিত করাবো, যেগুলি থেকে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

মার্কেটপ্লেস ফাইভার পিপল পার আওয়ার আপওয়ার্ক
প্রতিষ্ঠা সাল ২০১০ ২০০৭ ২০১৫
প্রতিষ্ঠাতা / সিইও সাই উইনিগরি ও মিকা কফম্যান জিনিয়স ত্রাসিভলো ও সিমস কিটিরিস স্টিফেন ক্যাসরিয়েল
হেড অফিস তেলাভিভ, ইসরাইল লন্ডন, যুক্তরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া
রেজিষ্টার ফ্রিল্যান্সার নির্দ্দিষ্ট নয় ১.৫ মিলিয়ন ১২ মিলিয়ন

ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি কত আয় করতে পারবেন ?

আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতি মাসে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অনেক ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সার আছে, যারা প্রতি মাসে ৪/৫ লক্ষ টাকা আয় করে। একটি ভালো কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেটের লাইন থাকলেই আপনি কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করে ফেলতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এর কোন নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই বরং বলা যেতে পারে আপনি কোন আয় নাও করতে পারেন আবার হাজার কোটি টাকাও ইনকাম করে ফেলতে পারবেন। পুরো বিষয়টি আপনার দক্ষতার উপরেই নির্ভর করছে।

তবে একটি সার্ভে থেকে জানা গেছে যে ভারতীয় ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই প্রতি বছরে গড়ে ষাট লক্ষ টাকারও অধিক উপার্জন করে থাকেন। তাই বুঝতেই পারছেন কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠলে মানুষ আপনার কাছে আসবেই আর আপনাকে দিয়ে কাজ করাবেই।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু সতর্কতা

অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশি। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জানা থাকা জরুরি। একাকিত্ব, রাত জেগে কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা, সামাজিক স্বীকৃতির আক্ষেপের মতো অনেক বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত।

বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করা লাগে। এ ছাড়া চাকরিতে নির্দিষ্ট বেতন থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না–ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। যাঁরা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাঁদের জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।

জেনে নিন বিষয়গুলো:

  • ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একাকী করে দেবে
  • নিজের অর্থের ব্যবস্থাপনা
  • কাজের কোন নিরাপত্তা বা গ্যারান্টি নেই। কোনো কোনো সময় এমন হবে, আপনি সারা মাসেও একটি কাজ পাবেন না।
  • অধিকাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বুঝে না বিধায় ফ্রিল্যান্সিংকে সম্মানজনক জব হিসেবে মনে করে না।
  • নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ থাকে না।
  • আমাদের দেশে পেমেন্ট এর কিছু অসুবিধা আছে।
  • ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন সুযোগ থাকে না।

COMMENTS

WORDPRESS: 1