অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়মগুলো হয়তো অনেকের অজানা। আজ আমরা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়মগুলো হয়তো অনেকের অজানা। আজ আমরা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই ২০২২
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য কোন টেনশনে পরার দরকার নেই। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করে তাদের নাম সংশোধন করতে হবে। এরপর যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে থাকেন, তবে তাদের নাম সংশোধন করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
নিচের ফরম থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিনঃ

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন
জন্ম নিবন্ধন করার সময় খুব সাবধানতা অবলম্বন করে কাজটি করতে হয় । কারণ অসাবধানতার কারণে জন্ম নিবন্ধন বাতিলও হতে পারে । যার ফলে ভবিষ্যতে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । তাই জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করাই সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার আবেদনের নিয়মগুলো বলা হলঃ
*** আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে হলে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন। *** যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকে, তাহলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করে তাদের নাম সংশোধন করে আসতে হবে। এরপর যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে থাকেন, তবে তাদের নাম সংশোধন করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে। আর যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না দিয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপ করতে হবে। পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপ করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
*** যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পূর্বে হয়, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতা মৃত হলেও তাদের মৃত্যুর কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না।
*** যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং আপনার পিতা/মাতা মৃত হয় এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পরে হয়, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
আপনি নিচের ফর্ম থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন কেন প্রয়োজন ?
বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক । কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছাড়া রাষ্ট্র থেকে কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে না । আর জন্ম নিবন্ধন সনদ হলো রাষ্ট্রের সেই স্বীকৃতি । জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী সন্তান জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক । সন্তানের বয়স যদি দুই বছরের বেশি হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য পিতা-মাতাকে গুণতে হবে জরিমানা ।
- জাতীয় পরিচয় পত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত মূলত জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র স্বরূপ কাজ করে ।
- ১৮ বছরের আগে বা জাতীয় পরিচয় পত্র হওয়ার পূর্বে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শন করাতে হবে । অন্যথায় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে না ।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও সকল একাডেমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের জন্যও বাধ্যতামূলক জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন প্রয়োজন ।
- পাত্র/পাত্রির বয়সের প্রমান স্বরূপ বিবাহ নিবন্ধনের সময় জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শন করাতে হয় ।
- জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকা স্বত্বে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরীতে জন্ম নিবন্ধনরে প্রয়োজন হয় । অন্য়থায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় না ।
- জাতীয় পরিচয় পত্র এর জন্য আবেদন কেরতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শন করাতে হয় ।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই
জন্ম নিবন্ধন ফি
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা এবং জন্মতারিখ ব্যতীত পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সংশোধনের পর সনদের কপি বিনা ফিসে সরবরাহের কথাও বলা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য। জন্ম নিবন্ধন ফি সমুহ নিম্নরুপঃ
বিষয় | ফিসের হার | |
---|---|---|
দেশে | বিদেশে | |
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন | বিনা ফিসে | বিনা ফিসে |
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে) | ২৫/- টাকা | ১ মার্কিন ডলার |
জন্ম বা মৃত্যুর ৫ (পাঁচ) বৎসর পর কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে) | ৫০/- টাকা | ১ মার্কিন ডলার |
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি | ১০০/- টাকা | ২ মার্কিন ডলার |
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি | ৫০/- টাকা | ১ মার্কিন ডলার |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ | বিনা ফিসে | বিনা ফিসে |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ | ৫০/- টাকা | ১ মার্কিন ডলার |
জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড কপি ডাউনলোড করতে বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে অর্থাৎ প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা বা Online BRIS ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড (jonmo nibondhon online copy download) বা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি যাচাই করার নিয়ম নিম্নরুপঃ

জন্ম নিবন্ধন যাচাই
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা বা Online BRIS ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন
- ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশের পর এরকম দেখতে একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেনঃ
- জন্ম নিবন্ধন যাচাই
- জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে প্রথম খালি বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান, তার জন্ম নিবন্ধন সনদ এ থাকা ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রদান করুন
- এরপর দ্বিতীয় বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান, তার জন্ম নিবন্ধন সনদ এ থাকা জন্ম তারিখ প্রদান করুন
- কারো জন্ম তারিখ যদি ১৯৯০ সালের জানুয়ারীর ১ তারিখ হয়, তবে দ্বিতীয় বক্সটিতে 1990-01-01 এভাবে লিখতে হবে
- দুইটি বক্সেই সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে Verify বাটনে ক্লিক করুন
- Verify বাটনে ক্লিক করার পর যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চান, তার জন্ম নিবন্ধনে থাকা তথ্যগুলো স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে
- প্রদর্শিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই করে নিন
- যদি Verify বাটনে ক্লিক করার পর Matching Birth Records Not Found লেখা আসে, তবে বুঝবেন উল্লিখিত বক্সে দুইটিতে প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বা জন্ম তারিখ – যেকোনো একটিতে ভূল হয়েছে।
উল্লেখিত পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকলে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চেয়েছিলেন, তার জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য পেয়ে যাবেন। জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্যসমুহ স্ক্রিনে দেখার পর তা সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করা মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন।
জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন
এইগুলো পড়তে পারেনঃ-
- বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ২০টি উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সহজ ১০টি উপায়
- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
- বাংলাদেশে গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট
প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কি?
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।
প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে?
উত্তর: ক) পাসপোর্ট ইস্যু খ) বিবাহ নিবন্ধন গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ঘ) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু চ) ভোটার তালিকা প্রণয়ন ছ) জমি রেজিষ্ট্রেশন জ) ব্যাংক হিসাব খোলা ঝ) আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি ঞ) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি ট) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি ঠ) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি ড) বাড়ির নক্সা অনুমোদন প্রাপ্তি ঢ) গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি ন) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও ত) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া ?
উত্তর:জন্ম নিবন্ধনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে (ছাপানো বা হাতে লিখা হলেও চলবে) নিবন্ধকের নিকট নিম্নে বর্ণিত দলিল বা প্রত্যয়নসহ আবেদন করতে হবে। এছাড়াও br.lgd.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয় বরাবর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের প্রিন্ট কপি নিবন্ধন অফিসে দাখিল করলে নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন (অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন )।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মের পাঁচ বৎসরের মধ্যে আবেদন করা হলে-
- তথ্য সংগ্রহকারীর প্রত্যয়ন, অথবা
- ইপিআই কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন জন্ম সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মের পাঁচ বৎসর পরে আবেদন করা হলে-
- বয়স প্রমাণের জন্য এমবিবিএস ডাক্তারের এবং জন্মস্থান বা স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান প্রমাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর/সদস্যের প্রত্যয়ন, অথবা
- বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক বা তৎকর্তৃক মনোনীত শিক্ষক বা কর্মকর্তার প্রত্যয়ন, অথবা
- বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য ইপিআই কার্ড বা পাসপোর্ট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্ম সংক্রান্ত ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন জন্ম সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন।
প্রশ্ন: জন্ম তথ্য প্রদানকারী কারা?
উত্তর: শিশুর পিতা বা মাতা বা অভিভাবক শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।এছাড়া নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন:
- ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, এবং সচিব;
- গ্রাম পুলিশ;
- সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কাউন্সিলর;
- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার কল্যাণকর্মী;
- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেক্টরে নিয়োজিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) মাঠকর্মী;
- কোন সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা মাতৃসদন বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে উহার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার অথবা ডাক্তার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;
- নিবন্ধক কর্তৃক নিয়োজিত অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী;
- জেলখানায় জন্মের ক্ষেত্রে জেল সুপার বা জেলার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;
- পরিত্যক্ত শিশুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;
প্রশ্ন: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কোথায় করবেন ?
উত্তর: ব্যক্তির জন্ম স্থান বা স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমানে বসবাস করছেন এমন যে কোন স্থানের নিবন্ধকের কাছে জন্ম নিবন্ধন করানো যাবে এবং কোন ব্যক্তি যে এলাকায় মৃত্যু বরণ করবেন সে এলাকার নিবন্ধকের কাছে মৃত্যু নিবন্ধন করাতে হবে।জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ নিবন্ধক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন:
- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা সদস্য;
- পৌরসভার মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর;
- সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর;
- ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা; ও
- বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ চট্টগ্রমা, খুলনা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসমূহে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রধান কার্যালয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পারেশনে পুরাতন পৌরসভা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ জন্ম নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর এলাকা ভিত্তিক ওয়ার্ড ও অঞ্চলের তথ্য দেখতে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর নামের উপর ক্লিক করুন।
COMMENTS