HomeUncategorized

অনলাইনে শুক্রাণু কিনে জন্ম দিলেন ‘ই-বেবি’ 

সন্তান ধারণে চাননি কোন পুরুষ সঙ্গী। তাই বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল যুগের অনলাইন বেচা-কেনার ক্ষেত্রে এক নজির উপস্থাপন করেছেন এক নারী। অনলাইনে শুক্রাণু কিনে

বাংলাদেশে কত বছর বয়স পর্যন্ত মানুষ লম্বা হয় ?
সত্যিই কি থাকছে না পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা ?
জামা দে, আমার কোনো হুশ নেই কিন্তু ফেসবুক লাইভের কথা ভুলেনি পরীমনি

সন্তান ধারণে চাননি কোন পুরুষ সঙ্গী। তাই বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল যুগের অনলাইন বেচা-কেনার ক্ষেত্রে এক নজির উপস্থাপন করেছেন এক নারী। অনলাইনে শুক্রাণু কিনে শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি ইউটিউবে শিখে সফলভাবে জন্ম দিলেন সন্তানের। এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন ইংল্যান্ডের নানথপের বাসিন্দা স্টেফনি টেইলর। 

অনলাইনে সব চললে সন্তান ধারণ কেন নয়? এমন ভাবনা থেকেই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-বে হতে প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র কিনে সন্তান জন্ম দেন এ নারী। ‘অলৌকিক’ এবং ‘সত্যিকারের অনলাইন শিশু’ আখ্যায়িত করে তিনি নিজ সন্তানের নাম রেখেছেন ইডেন।

আরও পড়ুন: রিং আইডি কি তাহলে ডেস্টিনির পথে হাঁটছে

‘ই-বেবি’ বা ‘ই-সন্তান’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই অভিনব ঘটনা নিয়ে এক প্রতিবেদন করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর। গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে ইউটিউব দেখে বাড়িতে গর্ভধারণ করার কারণ জানতে চাইলে স্টেফনি জানান, প্রথমে তা ভেবে দেখলেও বেশ কয়েকটি গর্ভধারণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে তাদের সন্তান ধারণ করানোর মূল্য দেখে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন স্টেফনি।

অনলাইনে শুক্রাণু কিনে জন্ম দিলেন 'ই-বেবি' 

তবে ইডেন স্টেফনির প্রথম সন্তান না। পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে তার। আরও একটি সন্তান জন্মদানে আগ্রহী শুনে এক বন্ধু অনলাইনে স্টেফনিকে শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন। ওই অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল তথ্যই পাওয়া যায়। স্টেফনি জানিয়েছেন, সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য শুক্রাণুদাতা খুঁজে নেন তিনি।

আরও পড়ুন: ১৩ টি ভূতের ছবি দেখলে পেতে পারেন এক লক্ষ টাকা

নিজের মতোই দেখতে সন্তান চেয়েছিলেন স্টেফনি। খুঁজছিলেন এমন কাউকে যার সাথে মিলবে শারীরিক গঠন ও স্বভাব। পছন্দমতো শুক্রাণুদাতা পেতে একদিন সময় লাগে তার। দু’সপ্তাহেই পেয়ে যান শুক্রাণু। প্রথম চেষ্টাতেই শুক্রাণু গ্রহণে সফল হন তিনি।

স্টেফনির মা এবং বোন এভাবে গর্ভধারণের খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও বিরোধিতা করেছিলেন তার বাবা। পরে অবশ্য কিছু সময় পরই স্বাভাবিক হন তিনি। স্টেফনি জানিয়েছেন, প্রথমে এ ব্যাপারে রাজি না হলেও ইডেনের জন্মের পর তার বাবা মেয়ের এ সিদ্ধান্তকে ‘খুবই দারুণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। সম্পূর্ণ একার চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্বিত স্টেফনি।

সুত্রঃ একাত্তর/টিএ

COMMENTS

WORDPRESS: 0