ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

Homeঅনলাইন আয়

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সেই বিষয়ে। যদি আপনি অনলাইন টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুঁজেন, তাহলে ইউটিউব থ

ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম। ফ্রিতে কিভাবে ব্লগ তৈরি করা যায়?
ফুডপান্ডা রাইডার বা ফুডপান্ডা ডেলিভারি ম্যান হিসাবে যোগ দিন
গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট ২০২৩

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সেই বিষয়ে। যদি আপনি অনলাইন টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুঁজেন, তাহলে ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে জেনে রাখাটা আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে।

বর্তমানে দেশ বিদেশে হাজার হাজার ইউটিউবার রয়েছেন, যারা নাকি কেবল নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উপার্জন করছেন যে তাদের অন্য কোনো কাজ বা চাকরি করার কোনো প্রয়োজন হচ্ছেনা।

তাছাড়া এই ইউটিউবাররা ইউটিউবকে পেশা হিসেবে চালিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন। দেশের অনেক ইউটিউবাররা প্রতি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম ইউটিউবে করছে। কিন্তু এইটা তাদের ধৈর্য এবং কষ্টের জন্য তারা পাচ্ছেন।

এখন যদি আপনি “কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়” এই ধারণা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে তার জবাব বা সমাধান আমাদের কাছে অবশই আছে। এখানে আমি আপনাদের ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ উপায় একেবারে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেব।

YouTube থেকে আয় করার পদ্ধতি এমনিতে অনেক সহজ। যদি আপনি এই বেপারে কিছুই না জানেন তাহলে আপনার ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ লিখাটি পড়তে হতে পারে। তাই আমি আপনাকে ইউটিউবে ইনকাম করার জন্য কি কি করতে হবে, কিসের প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে নিজের YouTube চ্যানেল শুরু করবেন তা শিখিয়ে দেব।

কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় ?

YouTube থেকে টাকা আয় করার একমাত্র উপায় হলো, “নিজের YouTube একাউন্ট বা চ্যানেলে video upload করে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক দুই টাকা নয় লোকেরা ইউটুবে হাজার এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

তবে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়টি শুনতে অনেক সোজা লাগলেও আসলে চ্যানেল শুরু করা থেকে টাকা ইনকাম করা পর্যন্ত আপনাকে অনেকটা পরিশ্রম করতে হয়। ইউটিউব আসলে এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে সব রকমের Videos পাবেন।

কিছু শিখতে চান যদি “টিউটোরিয়াল ভিডিও“ সময় কাটানোর জন্য অনেক রকমের “funny videos” অন্য সব রকমের ভিডিও আপনি এখানে দেখতে পাবেন। আপনার আর আমার মতো লোকেরা ইউটুবে ভিডিওস আপলোড করাতে এই লক্ষ লক্ষ ভিডিও আমরা ইউটিউব ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারি।

লোকেরা নিজের সময় নষ্ট করে কেন ভিডিও বানিয়ে বানিয়ে ইউটুবে দেন ? তাদের লাভ কি হয় ? আপনিও তাই ভাবছেন  তো ? যারা নিজের ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে ভিডিও আপলোড করছেন তারা এমনেই এতো কষ্ট করছেন। তারা নিজের আপলোড করা প্রতি ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করেন।

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

তো সবার আগে আপনাকে কিছু উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। যে উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন তো ইউটিউব থেকে আপনি ২টি উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।

  1. YT Partner Programme
  2. Third-Perty Programme

হুমমম, ইউটিউব সেক্টরে কাজ করে। তারা এই দুইটি উপায় থেকেই ইনকাম করে থাকে। আর যখন আপনিও ইনকাম করবেন। তখন আপনাকেও এই দুটি মাধ্যমে ইনকাম করতে হবে। তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, YT Partner Programme এবং Third-party আসলে কি। যার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

YouTube থেকে আয় করার পদ্ধতি

এটা সত্যি যে YouTube এর দ্বারা video আপলোড কোরে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু তা তখনি সম্ভব যখন আপনি ধোর্য ধরে প্রথমে নিজের YouTube চ্যানেলটি বানাবেন এবং সেট করবেন। চ্যানেল বানানোর থেকে টাকা ইনকাম করা অবদি আপনার অনেকটা কাজ ধর্য ধরে করতে হবে।

তা করতে পারলে আপনি অবশই নিজের চ্যানেল থেকে অনলাইন আয় করা আরম্ভ করতে পারবেন এবং নিজের YouTube চ্যানেল কে একটা পেশা হিসেবে চালাতে পারবেন। তাহলে চলুন নিচে আমরা ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা টাকা কমানোর জন্য কি কি করতে হবে তা স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই।

১. YouTube এ নিজের একটি চ্যানেল বানান

নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে, সবেরছে প্রথম এবং দরকারি কাজটা হলো, “নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানো“। চ্যানেল বানানোর পর আপনি তাতে নিজের মন মতো videos তৈরি করে আপলোড করতে পারবেন।

নিজের একটি চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার প্রথমে “ইউটিউব ওয়েবসাইটে” যেতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রথমে নিজের Gmail account details (আইডি এবং পাসওয়ার্ড) দিয়ে YouTube এ লগইন করতে হবে।

আমি আগেই বলেছি, ইউটিউব Google এর একটি service তাই ইউটুবে লগইন করতে হোলে বা একাউন্ট বানাতে হলে আপনার কেবল জিমেইল আইডি আর পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হবে। একটি জিমেইল একাউন্ট আছেই আর আপনি নিজের সেই জিমেইল আইডি দিয়েই YouTube এ লগইন করে নিতে পারবেন।

আপনার যদি Google account নেই, তাহলেও আপনি জিমেইল এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। এখন নিজের চ্যানেলে গিয়েই (লগইন করে) আপনি সরাসরি ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আলাদা চ্যানেল বানানোর কোনো রকম প্রয়োজন নেই।

২. নিজের YouTube চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করুন

চ্যানেল বানানোর পরেই যে আপনি নিজের ইউটিউব থেকে টাকা আয় কোরতে পারবেন তা নয়। টাকা কমানোর জন্য এখন আপনাকে অনেক কিছুই কোরতে হবে। সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো “নিজের চ্যানেলে ইন্টারেষ্টিং ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা“।

আমি আগেই বলেছি, ইউটুবে আপনি যা ভিডিও আপলোড কোরবেন সেগুলিতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি গুগল এডসেন্সের দ্বারা টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি কি ভিডিও আপলোড করছেন তা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ কথা। যদি আপনি ইউটিউব থেকে সত্যি টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন।

আপনি নিজের চ্যানেলে অন্য কারোর ভিডিও আপলোড করবেন না। কেবল নিজে বানানো ইন্টারেষ্টিং এবং যা ভিডিও দেখে লোকেদের কামে আসবে সেরকম ভিডিও বানাবেন এবং আপলোড করবেন। এতে লোকেরা আপনার ভিডিও বেশি করে দেখবে এবং তার ফলে বিজ্ঞাপন ও বেশিকরে আপনার ভিডিওগুলিতে দেখানো হবে আর আপনার ইনকাম ও বেশি করে হবে।

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

মনে রাখবেন, যদি এমন বিষয়ে ভিডিও বানান যেগুলি লোকেরা জানতে চায়, শিখতে চায় বা দেখে আনন্দ পায় তাহলে আস্তে আস্তে আপনার YouTube চ্যানেলে ভিসিটর, সাবস্ক্রাইবারস এবং ভিউ বাড়বে এবং আপনাকে সফল হতে কেও থামাতে পারবেনা।

ইউটিউবে কিরকম ভিডিও আপলোড করবো ?

দেখেন, আগেই যা আমি বলেছি, আপনাকে নিজের ইউটিউব চ্যানেল এমন টপিক নিয়ে বানাতে হবে যা আজকাল লোকেরা ইন্টারনেটে অনেক সার্চ করেন। তাই YouTube channel এমন বিষয়ে বানাবেন যে বিষয়ে আজকাল মানুষের অনেক রুচি।

এতে আপনার বানানো ভিডিও অনেক লোকেরা দেখার সুযোগ হবে আর আপনার টাকা ইনকাম করার সুযোগ ও বেশি হবে। তাছাড়া আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে যে কেবল লোকের রুচি থাকা টপিক বা বিষয়ে চ্যানেল বানিয়ে ভিডিও আপলোড করলেই হবেনা।

আপনার সেই বিষিয়ে জ্ঞান থাকতে হবে যেই বিষিয়ে আপনি ভিডিও বানাবেন। ইউটিউবে ইনকাম করতে হলে, আপনাকে এমন বিষয়ে ভিডিও বানাতে হবে যেই বিষয়ে ইউটুবে অনেক সার্চ হয় এবং যেই বিষয়ে আপনার অনেক জ্ঞান ও আছে।

আমি নিচে আপনাকে কয়েকটি এমন বিষয় বা টপিক বলেদিচ্ছি যেইগুলি ইউটুবে অনেক সার্চ হয় এবং আপনি সহজে এ বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে নিতে পারবেন।

YouTube চ্যানেল বানানোর জন্য ৫ টি চ্যানেল আইডিয়া

নিচে দেওয়া বিষয় গুলো নিয়ে বানানো ইউটিউবের চ্যানেল গুলো বর্তমানে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

  1. Technology (টেকনোলজি ) – আজ ইন্টারনেটে ব্লগ বলুন কি ইউটিউব এ ভিডিও সবখানেই টেকনোলজি আর টেকনোলজি নিয়ে লোকেরা ইন্টারনেটে পোস্ট করছেন। এর কারণ, টেকনোলজি আজ সবথেকে লোকপ্রিয় বিষয় আর যে বিষয়ে আজকাল সবাই জানে। তাই এবিষয়ে ভিডিও বানালে আপনার ভিডিও অনেকেই দেখবে এবং ইনকাম ও অনেক হবে
  2. App review চ্যানেল – আজকাল android apps করা ব্যবহার না কোরে আছে। আমি আর আপনি সবাই নতুন নতুন apps মোবাইলে ইনস্টল কোরে মজা নেই। কিন্তু, সব apps এর কথা আমরা জানিনা আর তাই ইন্টারনেটে লোকেরা নতুন এবং ইন্টারেষ্টিং apps এর কথা জেনে অনেক ভালো পান। তাই, আপনি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ভালো ভালো apps এর কথা জেনে তার ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।
  3. মোবাইল ফোন রিভিউ – মোবাইল ফোন রিভিউ কোরে আজ অনেকেই YouTube থেকে টাকা আয় করছেন। আর আপনিও চাইলে নিজের চ্যানেলে নতুন নতুন মোবাইল রিভিউ কোরে তাদের বেপারে সব কিছু বলে ভিডিও বানাতে পারেন। আপনি যত ভালোকোরে মোবাইলের বিষয়ে সব ভেঙে বলবেন ততোটাই লোকেরা আপনার ভিডিও পছন্দ করবেন।
  4. Tutorial video বানিয়ে – আজকাল সবাই নিজেদের চ্যানেলে কিছুনা কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করে নিজের চ্যানেলকে successful করে ফেলছেন। এর কারণ হলো, টিউটোরিয়াল ভিডিওস ইন্টারনেটে সবেরথেকে বেশি লোকপ্রিয় এবং তাই বিভিন্ন রকমের টিউটোরিয়ালস লোকেরা ইউটিউবে সার্চ করতেই থাকেন। টিউটোরিয়াল ভিডিওস বলতে, এমন কোনো বিষয়ে video বানানো যেখানে আপ্নে কিছু বিষয়ে বুঝিয়ে বলছেন। মানে যেকোনো জিনিস কিভাবে করবেন, কিভাবে বানাবেন, জিনিষটা কি আদি।
  5. Food (খাবার) বানানোর video – যদি আপনি নতুন নতুন খাবার বানিয়ে ভালোপান, তাহলে আপনি নিজের food recepie র ভিডিও বানিয়ে YouTube এ success হতে পারবেন। নতুন নতুন dish নিজের থেকে বানিয়ে সেগুলো বানানোর ভিডিও বানিয়ে তার সাথে আপ্নে কিভাবে খাবারটা বানালেন তা দেখিয়ে নিজের Food video চ্যানেল চালিয়ে নিতে পারবেন।
  6. Blogging tips – বর্তমান সময়ে লোকেরা blogging শেখার জন্যে ইন্টারনেটে প্রচুর তথ্য সার্চ করে থাকেন। তাই, আপনি যদি blogging এবং WordPress এর সাথে জড়িত tutorial video বানিয়ে আপলোড করতে পারেন তাহলে সেই চ্যানেল এর জনপ্রিয়তা থাকবেই।
  7. Online earning tips – আজকাল প্রত্যেকেই ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার নতুন নতুন উপায় গুলো খুজেঁ। তাই, আপনি ইন্টারনেটে থাকা নতুন নতুন earning tips এবং tutorial গুলো ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন। এই ধরণের ভিডিও লোকেরা দেখে অনেক পছন্দ করেন।
  8. Gaming channel – এখনের সময়ে YouTube gaming channel গুলোর চাহিদা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি নিজের মোবাইলে বা কম্পিউটারে গেম গুলো খেলে সেগুলোকে রেকর্ড করে নিজের চ্যানেলে gameplay videos গুলো আপলোড করতে পারবেন। বর্তমানে, এই ধরণের gaming চ্যানেল গুলো অনেক তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে থাকে।

তো, নিচে আমি আপনাদের কয়েকটি এমন YouTube চ্যানেল বানানোর আইডিয়া দিলাম যেগুলি আজকাল অনেক লোকপ্রিয় এবং যেগুলি চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড কোরে লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা কমিয়ে নিয়েছে।

৩. ইউটিউবে মনিটাইজেশন চালু করেন

নিজের ইউটুবে চ্যানেল বানানোর পর তাতে নিয়মিত ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করার পর আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব এবং ভিউস বাড়বে।

কিছুদিন পর যখন আপনি নিজের চ্যানেলে ১০০০ subscribers ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম বা তা থেকে বেশি পেয়ে যাবেন তখন আপনি YouTube monetization এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Monetization apply করে active করার পর আপনার YouTube video তে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে Google adsense এর থেকে। আর এতেই আপনি টাকা কামানো আরম্ভ করতে পারবেন। নিজের চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করার জন্য প্রথমে আপনার কিছু জিনিসের ধ্যান রাখতে হবে।

৪. YouTube থেকে টাকা আয় করার পর সেগুলো কিভাবে তুলবো ?

আমি আগেই বলেছি, YouTube monetization চালু করার সময় আপনাকে Google adsense একাউন্ট রেজিস্টার কোরতে হবে। আর এই গুগল এডসেন্স থেকেই আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন (advertisement) দেখানো হবে আর আপনি অনলাইন টাকা আয় কোরতে পারবেন।

এখন এডসেন্সের বিজ্ঞাপনের দ্বারা আপনি যত টাকা কমাবেন তা আপনার বানানো গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হতে থাকবে। আর যখন আপনার এডসেন্সে ১০০ ডলার জমা হয়ে যাবে সেই ১০০ ডলার আপনাকে এডসেন্স নিজে নিজেই আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্রান্সফার কোরে দেবে।

তারপর ২ থেকে ৩ দিনের ভিতরে আপনার টাকা আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে এসেযাবে। কিন্তু এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে Google adsense এর payment অপশনে গিয়ে নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট details ভালো করে দিয়েদিতে হবে।

এইটা অবশই মনে রাখবেন, ভুল ব্যাঙ্ক একাউন্ট details দিলে আপনার টাকা আপনার ব্যাংকে কোনো মতেই আসবেনা। তাই সঠিক এবং ভালোকরে নিজের ব্যাঙ্ক details গুগল এডসেন্স একাউন্টে add করবেন।

আমি আপনাদের YouTube থেকে টাকা কিভাবে আয় করা যায় এ বেপারে সব কিছু বুঝিয়ে বললাম। আমি আপনাদের এটাও বললাম যে কিরকম ভিডিও ইউটিউবে দিলে আপনার বেশি লাভ হবে।

কিন্তু সব থেকে জরুরি কথাটা আমি এখনো আপনাদের বলিনি। সেটা হলো “ইউটিউবে চ্যানেল দ্বারা কত টাকা আয় করা যায়” ? আপনিও এইটা জানতে চান তো ?

৫. YouTube থেকে কত টাকা আয় করা যায় ?

ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উপার্জন আপনি করতে পারবেন যখন আপনি নিজের চ্যানেলকে monetization এর জন্য চালু করবেন। কেবল তারপর আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে আর আপনি আয় করার সুযোক পাবেন।

এখন কথা হলো আপনি ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে এবং ভিডিও আপলোড করে Youtube থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন ? আপনার কি এতো ইনকাম হবে যে অন্য কোনো কাজ বা চাকরি না করলেও চলবে ?

ইউটুবে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন তার সোজা জবাব কেউ আপনাকে দিতে পারবেনা। কিন্তু অনেক লোকেরা ১০০০ ভিডিও ভিউ তে ১ থেকে ২ ডলার অব্দি পেয়ে যায়। যদি আপনার ভিডিওতে ১০০০ লোকেরা আসেন আর আপনার ভিডিও দেখেন তাহলে তাতে দেখানো বিজ্ঞাপনের দ্বারা আপনি ১ থেকে ২ ডলার কমিয়ে নিতে পারবেন।

তাহলে এখন ভাবেন, যদি আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে ডেইলি মোট ৫০০০ ভিউ হয়ে থাকে তাহলে আপনার প্রায় ৫ থেকে ১০ ডলার বা তার থেকেও বেশি ইনকাম প্রতিদিন হতে পারে।

আর যদি এরকম হয় তাহলে আমি মনেকরি অন্য কোনো চাকরি করার কোনো প্রয়োজন হবেনা। আজ অনেকেই ইউটুবে ভিডিও আপলোড কোরে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিয়ে নিচ্ছেন। আর তা আপনিও পারবেন কিন্তু অল্প সময় লাগবে। আপনি লক্ষ টাকা না কমাতে পারলেও YouTube চ্যানেল দ্বারা একটা ভালো সংখ্যা ইনকাম করতে পারবেন।

কেবল ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড কোরতে থাকুন। এতে আপনার ভিডিওতে আস্তে আস্তে ভিউ বাড়বে এবং YouTube সার্চ এ আপনার ভিডিও ভালো করে display হতে থাকবে।

যখন আপনি ৪০ থেকে ৫০ টি ভালো এবং নিজে বানানো মূল্যবান ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করেফেলবেন তখন আপনার অনলাইন ভালো টাকা ইনকাম হতে থাকবে।

তাহলে সোজা সোজি বলা যায়, তাহলে আপনারা চ্যানেলে থাকা ভিডিওতে যদি ডেইলি টোটাল ১০০০ থেকে ১৫০০ ভিউ হয় তাহলে আপনি ২ থেকে ৩ ডলার রোজ ইনকাম করতে পারবেন। মানে রোজ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা

যদি আপনার ভিডিওতে রোজ ৫০০০ থেকে ৬০০০ ভিউ হয় তাহলে ১০ থেকে ১৫ ডলার মানে রোজ ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা অব্দি কমিয়ে নিতে পারবেন। এই টাকা কমানোর তালিকাটা আমি বিভিন্ন YouTuber ইনকাম দেখে আপনাকে বলেছি।

আপনার ইনকাম আমি বলা মতো নাও হতে পারে। Google এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দ্বারা টাকা কামানোটা অনেক কিছু জিনিসের ওপর নির্ভর করে। এই জিনিসগুলির মধ্যে, “CPC”, “CTR” এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার ইনকাম আমি বলার থেকে কম বা বেশিও হতে পারে।

৬. ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ টি উপায়

একবার আপনার বানানো ইউটিউব চ্যানেলে হাজার হাজার subscriber হয়ে গেলে, তারপর আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সব থেকে জনপ্রিয় উপায় গুলো হলো।

  1. Google Adsense এর বিজ্ঞাপন নিজের ভিডিও গুলোতে দেখিয়ে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। এটা সব থেকে সহজ, জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায়।
  2. বিভিন্ন কোম্পানির products এবং services গুলোকে টাকা নিয়ে নিজের চ্যানেলের মাধ্যমে paid promotion করে ইনকাম করতে পারবেন।
  3. Affiliate marketing হলো YouTube থেকে income করার সাংঘাতিক লাভজনক উপায়। এখানে আপনি অন্যান্য কোম্পানির products গুলোকে নিজের চ্যানেলের মাধ্যমে promote / marketing করতে হবে। যদি আপনার প্রচার করা প্রডাক্ট কেও কিনেন তাহলে সেই বিক্রির জন্যে কোম্পানির তরফ থেকে ভালো commission পাবেন। বর্তমানের সেরা business model হলো affiliate marketing.
  4. আপনি চাইলে নিজের products বা services গুলোকে YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার ও বিক্রি করিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
  5. অধিক subscriber সহ থাকা নিজের ইউটিউবের চ্যানেল বিক্রি করে আপনি টাকা কামাতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ

শেষ কথা

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? আমি আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ ভালো করে বুঝিয়ে দিলাম। YouTube থেকে কত টাকা আয় করা যায় তা আমি আপনাদের বললাম। ভালো ভালো ভিডিও বানাতে হবে যাতে লোকেরা আপনার ভিডিও দেখে ভালো রিভিউ দেন। কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়, বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে নিচে অবশ্যই কমেন্ট করবেনয়

COMMENTS

WORDPRESS: 0