আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো তার নিয়ম নিয়ে আজকের পোস্ট। আপনি যদি মনে করেন আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো এবং বাংলাদেশে বসে কিভাবে ব্যবসা করব। তাহলে
আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো তার নিয়ম নিয়ে আজকের পোস্ট। আপনি যদি মনে করেন আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো এবং বাংলাদেশে বসে কিভাবে ব্যবসা করব। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। ধৈর্য সহকারে লিখাটি পড়বেন।
আলিবাবা ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। আলিবাবা হল পাইকারি পণ্য ক্রয়ের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। আলিবাবা একটি বহুজাতিক ই-কমার্স, পাইকারি, ইন্টারনেট, প্রযুক্তি বিক্রয়কারী কোম্পানি যেটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ক্রেতা-ক্রেতা,ব্যবসায়ী-ক্রেতা,ব্যবসায়ী-ব্যবসায়ী পন্য ক্রয় বিক্রয় ওয়েব পোর্টাল এর মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে। আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার চেষ্টা অনেকে করে থাকেন।
আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো
আলিবাবা হল সহজ একটি পণ্য আমদানি পদ্ধতি। চায়না থেকে মোবাইল আমদানি কিংবা অন্য যেকোনো পণ্য আনার জন্য অনেকে বর্তমানে আলিবাবা ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হয়। আলিবাবা একটি অনলাইন বিক্রয় সাইট যা ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের তাদের নিজস্ব দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য কিনতে ও বিক্রয় করতে দেয়। আপনার পছন্দের পণ্যটি অনুসন্ধান করুন এবং একটি ভাল লেনদেনের ইতিহাস সহ একটি যাচাইকৃত সরবরাহকারীর সন্ধান করুন।
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি ইউনিটে দাম, আপনি যে ন্যূনতম পরিমাণ অর্ডার করবেন এবং ডেলিভারি পদ্ধতিতে আলোচনার জন্য সরবরাহকারীকে যোগাযোগ করুন। একটি নিরাপদ অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করুন, যেমন পেপাল বা এসক্রো পরিষেবা। আপনি যদি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে থাকেন তবে শুল্ক ছাড় এবং শুল্ক পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য একটি কাস্টমস ব্রোকার নিয়োগ করুন।
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য কয়েকটি ধাপ
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম বা কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আলিবাবা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বি টু বি সাইট। এখান থেকে আপনি যেকোনো পণ্য পাইকারি দরে ক্রয় করতে পারবেন। এখানে কেবল চায়না কোম্পানি না, সারা বিশ্বের হাজার হাজার সেলার তাদের পণ্য বিক্রি কর থাকেন আলিবাবতে। এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর রপ্তানিকারক আছে যারা আলিবাবা ডট কমে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। আলিবাবা যদিও ই-কমার্স ওয়েবসাইট। তবে, এখান থেকে পণ্য ক্রয়ের নিয়ম কানুন কিছুটা ভিন্ন। কেননা, এখানে পণ্য আমদানির একটি বিষয় রয়েছে। এজন্য, আজকে আমরা আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
১. আলি বাবা ডট কম এ্যাকাউন্ট খোলা
আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট খোলা। আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ প্রক্রিয়া। আলিবাবার এ্যাকাউন্ট দুই ধরনের হয় ৷ একটি হলো সেলার এ্যাকাউন্ট ৷ আরেকটি হলো বায়ার এ্যাকাউন্ট ৷ সেলার হলো তাদের এ্যাকাউন্ট, যারা আলিবাবাতে পণ্য বিক্রয় করবেন ৷ আর বায়ার এ্যাকাউন্ট হলো আমরা যারা আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করবেন ৷ তবে আলিবাবাতে একটি এ্যাকাউন্ট দিয়ে বায়ার সেলার দুটোই হতে পারবেন ৷
আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট করতে প্রথমে এখান থেকে ক্লিক করুন ৷ এবার আপনার ভ্যালিড ইমেইল দিয়ে আলি বাবা ডট কম এ একটি এ্যাকাউন্ট করুন খুব সহজেই ৷ আপনার উৎপাদিত যে কোন পণ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বি টু ওয়েবসাইট, অনলাইন পাইকারি বাজারে ফ্রিতে বিক্রি করুন। রেজিস্টার হতে ক্লিক করুন আপনি আপনার ইমেইল দিয়ে দিন। এবার তারা আপনাকে একটি ভেরিফিকেসন কোড পাঠাবে। ইমেইল থেকে সেন্ড লিঙ্ক এ ক্লিক করে ভেরিফিকেসন কোড দিয়ে আকাউন্ট কনফার্ম করুন।
এখানে আপনি বায়ার হলে খুব বেশী তথ্য দিতে হবেনা। তবে আপনি যদি সেলার হোন তবে অনেক কিছু দিতে হবে। আপনার যথা সম্ভব তথ্য দিয়ে ফর্ম টি পূরণ করে এ্যাকাউন্ট খোলার কাজটি শেষ করুন।কিন্তু আপনি আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট না খুলেও আপনি পন্য ক্রয় করতে পারবেন ৷ তবে যোগাযোগ প্রক্রিয়া নির্ভরযোগ্য করতে আলি বাবা ডট কম এ এ্যাকাউন্ট করতে হয় ৷ কারণ সেলার আপনাকে পুনরায় খুজে পেতে পারবে। অন্যথায় আপনার অর্ডার হারিয়ে ফেলতে পারে।
এ্যাকাউন্ট খোলা হলে এক ধরণের ম্যাসেজ করার সফটওয়্যার দেয়া হবে আপনাকে। যাতে করে আপনি সেলারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন । আবার অনেক সময় আপনি তাদের ইনকুয়ারি দিতে গেলে আপানকে এ্যাকাউন্ট খোলতে বলবে। সেজন্য আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করতে আগেই এ্যাকাউন্ট খুলে নিলে ভালো হবে। যেহেতু আপনি বায়ার, সেহেতু তেমন কোন তথ্য দেবার প্রয়জনীয়তা নেই ৷ মন চাইলে দিবেন না হয় দিবেননা ৷
- আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো
২. আলিবাবাতে পণ্য নির্বাচন করা
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করতে আলিবাবাতে পণ্য নির্বাচন করা বেশ সহজ। আলিবাবার একদম প্রথম পেজের উপরে সার্চ অপশন রয়েছে। এই সার্চ অপশনে আপনি পণ্য এবং সেলার ২টিই সার্চ করতে পারবেন। আলিবাবার হোম পেজে যান এবং, আপনার যদি ইতিমধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট থাকে তবে লগ ইন করুন। আপনার যদি অ্যাকাউন্ট না থাকে তবে যে পৃষ্ঠায় আপনি একটি তৈরি করতে পারেন সেখানে যান। অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে স্ক্রিনে প্রদর্শিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
- আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে আপনার পাইকার লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। তবুও, আপনি যদি আলিবাবার পণ্য বিক্রি করেন তবে আপনি আপনার দেশের ব্যবসায়িক আইনের অধীনে থাকবেন এবং আপনার কর দিতে হবে।
- ইন্টারনেটে কোনও সংস্থার সন্ধান করুন এবং এই বিষয়ে আপনার দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলি দেখুন।
- এ্যাকাউন্ট খুলা শেষ হলে আলি বাবা ডট কম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি আলি বাবা ডট কম থেকে খুজে বের করা।
- প্রথমে আপনি আলি বাবা ডট কম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটির নাম সার্সবারে গিয়ে লিখুন ৷ আপনি যে পন্য চাইবেন সেটাই লেখতে পারেন ৷
- তবে পণ্যের নামটি অবশ্যই ইংরেজিতে লেখতে হবে। যেমন কলম কিনতে চাইলে pen লেখে সার্স করলে দেখবেন কয়েক শ , কলম সেলারের ঠিকানা চলে আসবে ৷
৩. আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য সেলার নির্বাচন
সেলার নির্বাচন করতে অবশ্যই চেষ্টা করবেন গোল্ড সাপ্লায়ার সেলার নির্বাচন করতে ৷ কারণ গোল্ড সাপ্লায়ার সেলার হলো, আলি বাবা ডট কম এর এক বিশেষ ধরণের ভেরিফিকেসন ব্যবস্থা । প্রত্যেক সেলারকে গোল্ড সাপ্লায়ার সেলার হতে হলে মিনিমাম ১২০০ ডলার বাৎসরিক ফি দিতে হয়। আলি বাবা ডট কম এর এক বিশেষ টিম এসে সেলারের অফিস ভিজিট করে তাদের সেলিং সিস্টেম ভিজিট করে ভেরিফিকেসন করে।
সুতরাং গোল্ড সাপ্লায়ার সেলার থেকে পণ্য আমদানি করা অনেক বেশী নিরাপদ। চেষ্টা করবেন 5 Years gold suppliers চিহ্ন আছে এরকম কাউকে বেছে নেবার জন্য । তবে আপনি চাইলে তার কমও 3 Years gold suppliers নিতে পারেন ৷ কিন্তু সাবধানে কাজ করবেন ৷ এবারের কাজ হলো Country of origin লেখাটা ভালো করে দেখে নিবেন। অর্থাৎ পণ্যটি কোথায় উৎপাদিত এটা দেখে নেয়া জরুরী। না হয় এমন ও হতে পারে আপনি জাপানের পণ্য অর্ডার করে চায়না পণ্য ও পেতে পারেন।
আবার চায়না পন্য, তাইওয়ান বলেও চালিয়ে দিতে পারে ৷ অনেক সময় তারা এক দেশের সেলার আরেক দেশের পণ্য সেল করে । এটা করা যায় । কিন্তু আপনি চেষ্টা করবেন যে দেশের পণ্য সে দেশের সেলার থেকে ক্রয় করতে । সর্বশেষ দেখবেন সেলার কি পণ্য নিজে উৎপাদন করে নাকি সোর্সি করে । যদি তারা পন্য নিজেরা উৎপাদন না করে তবে তারা দাম বেশী চাইবে । কারন তারা Middle man হিসাবে কাজ করে। আর যদি তারা নিজেরা সরাসরি উৎপাদন করে তবে তারা অন্যদের চেয়ে কম দামে দিতে পারবে ।
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত
বাংলাদেশ হতে আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো এই নিয়ে অনলাইনে প্রচুর পোষ্ট রয়েছে। অনেকেই লেখেন আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য কিনবো বা আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি নিয়ে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কোন পোষ্ট কেউ দেয় নাই। আজকে আমি আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পোষ্ট দেয়ার চেষ্টা করবো। প্রথমেই বলে নেই আলিবাবা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বি টু বি সাইট। এখান থেকে আপনি যেকোনো পণ্য পাইকারি দরে ক্রয় করতে পারবেন।
এখানে কেবল চায়না কোম্পানি না, সারা বিশ্বের হাজার হাজার সেলার তাদের পণ্য বিক্রি কর থাকেন আলিবাবতে। এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর রপ্তানিকারক আছে যারা আলি বাবা ডট কমে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। পণ্যের দাম কি FOB নাকি CFR এটা ভালো করে দেখে নিবেন । অনেকেই হয়তো জানেননা FOB বা CFR কি বিষয়। সহজ ভাষায় FOB হলো সেলার আপনাকে পণ্য কেবল তার দেশের পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। ট্রান্সপোর্ট ফি আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু যদি দামের জাগায় CFR লেখা থাকে তবে বুজবেন সেলার আপনাকে পণ্য আপনার দেশের পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। ট্রান্সপোর্ট ফি তারা পরিশোধ করে দিবে।
- গোল্ড সেলার : গোল্ড সেলার হলে, সেই সেলারের বিশ্বস্ততা অনেক বেশি। গোল্ড সেলারদের আলিবাবা নিজে ভ্যারিফাইড করে। গোল্ড সেলার হওয়ার জন্য আলিবাবা প্রতি বছর ১২০০ ডলার চার্জ করে। আর আলিবাবা এসব সেলারদের অফিস নিজে এসে ভিজিট করে এবং যাচাই করে। তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে গোল্ড সেলার হিসাবে মার্ক করে।
- ট্রেড অ্যাসিয়্যুরেন্স সেলার: এরূপ সেলার থেকে পণ্য নিলে সময়মত পণ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। পণ্য না পেলেও আপনি টাকা ফেরত পাবেন।
দামের শর্ত মূলত আপনার দেওয়া দাম অনুযায়ী তারা আর কি কি সুবিধা দিবে। যেমন, পণ্য কতদূর পর্যন্ত তারা পৌঁছে দিবে, ট্রান্সপোর্ট ফি দিবে কিনা, নূন্যতম পণ্য ইত্যাদি। এটা বোঝার জন্য দেখবেন, FOB, CFR, EXW, MOQ। এইগুলোর অর্থ –
- FOB – FOB এর পূর্ণরূপ হল Free On Board। অর্থাৎ, সেলার তার দেশের পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। বাকী সকল খরচ আপনাকে বহন করতে হবে।
- CFR – CFR এর পূর্ণরূপ হল Cost and Freigh। অর্থাৎ, সেলার আপনার দেশের পোর্ট পর্যন্ত পণ্য পৌঁছে দেয়ার সকল খরচ বহন করবে।
- EXW – EXW এর পূর্ণরূপ হল Ex Works। এটা থাকলে বুঝবেন ট্রান্সপোর্টের সকল খরচ আপনার বহন করতে হবে।
- MOQ – MOQ এর পূর্ণরূপ হল Minimum Order Quantity। এটার মানে হল আপনি ৫০০, ১০০ এর কম পণ্য অর্ডার করতে পারবেন না। ক্ষেত্র বিশেষে এটা কমবেশি হয়। তবে, MOQ থাকলে দেখে নিবেন তাদের সর্বনিম্ন অর্ডারের পরিমাণ।
৪. আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য সেলারের সাথে যোগাযোগ করা
যাহোক পন্য সিলেক্ট করলেই দেখবেন, পাশে Contact Seller বা Get latest price নামে সেলার কে মেসেজ বা ইমেইল করার বাটন আছে ৷ বাটনে ক্লিক করলেই সেলারকে মেসেজ করার একটা অপশন চলে আসবে। মেসেজে আপনার কি পণ্য, কি পরিমাণ লাগবে সেটা বিস্তারিত বলুন। সাথে আপনার পারসোনাল ইমেইল আইডিটা দিয়ে দিবেন৷ যাতে তারা পরবরতিতে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে ।
তবে যা কিছু লেখবেন অবশ্যই সেটা English এ হতে হবে । না হয় তারা বুঝবেনা । তবে এই মেসেজ লেখতে আপনাকে ইংরেজিতে এক্সপার্ট হওয়া লাগবেনা ৷ স্বাভাবিক ভাবে লেখলেই চলবে ৷ মেসেজে আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করবেন কোন পন্য কত দামে তারা বিক্রয় করে । তবে তারা অনলাইনে যে দাম প্রদান করে তা অধিকাংশ সময়ই সঠিক থাকেনা। তাই অনলাইনে কম দাম দেখে এত বেসি উৎসাহি হবেননা।
এবার হলো অপেক্ষা করার পালা ৷ দেখবেন কিছু দিন পর তারা ইমেইলে আপনাকে রিপ্লাই দিবে ৷ অথবা আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট থাকলে ইনবক্স চেক করতে পারেন ৷ দাম দর ঠিক করুন ৷ আর পেমেন্ট করা, এলসি করা , শিপিং সিস্টেম ইত্যাদি ঠিক করুন ৷
৫. আলিবাবা থেকে সাম্পাল পণ্য আমদানি করা
এই স্যাম্পল অধিকাংশ সময় ফ্রি দিয়ে থাকে। তবে দামি কোন পণ্য হলে ওরা আপনাকে ফ্রি দিবেনা। যদি ফ্রি না দেয় তবে আপানকে পণ্যের মূল্য তারা যে ভাবে চায় সেভাবে পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি তাদের ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মদ্দমে পরিশোধ করতে পারেন অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারেন। কিন্তু আপনার এই কার্ড অবশ্যই দুই কারেন্সির সাপোর্ট করতে হবে।
এইগুলো পড়তে পারেনঃ-
- অনলাইনে গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট
- বিকাশ থেকে লোন সিটি ব্যাংকের সহায়তায় জামানত বিহীন লোণ সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা
- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
- উপায় মোবাইল ব্যাংকিং ও উপায় এর নবযাত্রা নিয়ে বিস্তারিত ২০২১
এবার আপনাকে শিপিং চার্জ পরিশোধ করতে হবে। এটা একটু জটিল। কারণ সাধারণত সেলাররা DHL,FEDEX,TNT ইত্যাদি কুরিয়ার আপনার সাম্পাল পাঠাবে।যাদের এসব কুরিয়ার সার্ভিসে আকাউন্ট আছে তাদেরকে পণ্য ওরা পাঠিয়ে দিবে। আপনি বাংলাদেশে পেমেন্ট করে পণ্য নিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি DHL,FEDEX,TNT তে আকাউন্ট না থাকে তবে স্যাম্পল এর জন্য আপানকে আগেই সেলারকে কুরিয়ার চার্জ পরিশোধ করতে হবে। আরও পড়ুন এবার আপনাকে কুরিয়ার থেকে ফোন করে জানানো হবে আপনার পণ্য চলে আসেছে । দুই ভাবে আপনি পণ্যটি পেতে পারেন। কুরিয়ার কোম্পানি আপনার কাছে পৌঁছে দিবে অথবা আপনাকে পণ্যের সকল কাগজ পত্র দিয়ে যাবে, আপনি ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে সি এন্ড এফ দিয়ে পণ্য ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য পেমেন্ট ব্যবস্থা
রিভিউ এবং রেটিং যেকোনো ই-কমার্স থেকে পণ্য কেনার সময় দেখা জরুরি। আলিবাবার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। দেখুন তাদের পণ্য সম্পর্কে পূর্বের বায়াররা কি মন্তব্য করেছে। পণ্যের দাম, মান, শিপমেন্ট সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বায়ারদের রেটিং ও মন্তব্য দেখুন। প্রয়োজনে সেলারের নাম দিয়ে গুগলে সার্চ করে দেখুন। আলিবাবাতে অনেকগুলো পদ্ধতিতে পেমেন্ট তথা দাম পরিশোধ করা যায়। যথা:
- Bank Transfer
- Escrow
- Alibaba Payment Links
- Pay Later
- Paypal
- Western Union
- Alibaba Online Transfer
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করতে কত খরচ লাগবে পারে ?
সাধারণত DHL,FEDEX,TNT একটা নরমাল পণ্য কুরিয়ার নিয়ে আসতে ২০০০ টাকা নিয়ে থাকে। ১ গ্রাম থেকে ১০০০ গ্রাম। কাস্টমস এর ট্যাক্স বিভিন্ন রকম হতে পারে। ৩০০০ টাকা নরমাল খরচ হবে। তাহলে সব মিলিয়ে ৪০০০ টাকা চলে আসলো। সাম্পাল ঠিক হয়ে গেলে এবার এলসি করে আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার ব্যবস্থা করতে হবে। কিভাবে এলসি করতে হবে তা নিয়ে পোষ্ট দেয়া আছে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন।
এই ছিল আজকে আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা। মনে রাখবেন বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য অবশ্যই আপনার আমদানির লাইসেন্স থাকতে হবে।
COMMENTS